ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তী উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের সেরা কলেজগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের শতভাগ বৃত্তিতে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। এ বিশেষ বৃত্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুইজন শিক্ষার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ করা হলো। এ দু’জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বিশেষ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজনকে বৃত্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পরীক্ষার ফলাফল নয় বরং নিয়মানুবর্তিতা, সহনশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তা, সচ্চরিত্রসহ নানাদিক বিবেচনা করা হবে।
দেশের খ্যাতিমান শিল্পোদ্যোক্তা, জেমকন গ্রæপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কাজী শাহেদ আহমেদ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ২০০২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক ও বিশ্বমানের কর্মমুখী শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা তৈরিতে লিবারেল আর্টস শিক্ষার মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউল্যাব সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ওয়ার্ল্ডস ইউনিভার্সিটিজ উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং-এ স্থান করে নিয়েছে ইউল্যাব। এর পূর্বে টাইমস্ হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং-এ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউল্যাব চতুর্থ স্থান অর্জন করে।
ইউল্যাবে একদিকে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রথিতযশা জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকবৃন্দ শিক্ষকতা করছেন অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটসহ দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষাগ্রহণ করে আসা মেধাবী প্রার্থীদের থেকে বাছাই করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। যার ফলে ইউল্যাবের শিক্ষক কাতারে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের চমৎকার মেলবন্ধন রয়েছে।
একাডেমিক শিক্ষার বাইরেও শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউল্যাব নানামুখী সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, একই সাথে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ভিজিট এবং কর্পোরেট লিডারদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। বর্তমানে জাতিসংঘ, ফেসবুকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যাংক-বীমা, বিশ্ববিদ্যালয়, সংবাদমাধ্যম, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে ইউল্যাবের চৌকস গ্রাজুয়েটরা সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় –
১. শিক্ষার্থীকে অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষাতেই জিপিএ ৫ প্রাপ্ত হতে হবে। শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর নিয়মানুবর্তিতা, সহনশীলতা, চারিত্রিক ও মানসিক দৃঢ়তা ও উদ্ভাবনী চিন্তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
২. উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা আন্ডারগ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট উভয় স্তরেই ভর্তির সুযোগ পাবে।
৩. সমযোগ্যতা সম্পন্ন মেধাবী প্রার্থীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা, লিঙ্গ, গোত্র ইত্যাদি বিবেচনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
নিম্নের লিংকটি পূরণ করুন অথবা ফর্মটি ডাউনলোড করুন –
https://forms.gle/BFSFhvbMeCtu1qEY7